এই প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত:
- ১ পট =৬০ টি ক্যাপসুল
✅ ডোজ :
১/২ ক্যাপসুল দিনে ১-৩ বার খাবারের আগে অথবা রেজিস্ট্রার চিকিৎসকের নির্দেশ অনুসারে সেব্য।
✅ গঠন :
প্রতিটি ৩০০ মিলিগ্রাম ক্যাপসুলে রয়েছে: রেহমানিয়া গ্লুটিনোসা রাইজোম ৩০০ মিলিগ্রাম এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য সহায়ক উপাদান।
✅ ইঙ্গিত :
ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, হেপাটাইটিস, ভাইরাল হেপাটাইটিস, কোষ্ঠকাঠিন্য, পলিমেনোরিয়া, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ, শুষ্ক মুখ, একজিমা।
✅ সাবধানতা :
সরাসরি সূর্যালোক এবং শিশুদের নাগালের বাইরে, শুষ্ক ও শীতল স্থানে রাখুন।
✅ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
সঠিক মাত্রায় এর কোনও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি নেই বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানা যায় না।
✅ বিবরণ :
ক্যাপসুল ডিআইকেয়ার হল এরগন ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) এর একটি গবেষণা পণ্য। আয়ুর্বেদিক সূত্র অনুসারে এটি সকল ধরণের ডায়াবেটিসের জন্য একটি প্রমাণিত ওষুধ। ক্যাপসুল ডিআইকেয়ারের প্রধান উপাদান হল রেহমানিয়া (রেহমানিয়া গ্লুটিনোসা) যাকে ডি-হুয়াং বা “হলুদ পৃথিবী”ও বলা হয়। রেহমানিয়া চীন, জাপান, ইউরোপ এবং আমেরিকাতে পাওয়া যায়। ক্যাপসুল ডিআইকেয়ার অগ্ন্যাশয়ের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ইনসুলিন নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে। এটি লিভারের প্রতিরক্ষামূলক এবং সঞ্চিত গ্লাইকোজেনের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে, যা এটি হাইপোগ্লাইসেমিয়ার জন্য উপকারী করে তুলতে পারে। এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট থেকে চিনির শোষণকে বাধা দিতে সাহায্য করে এবং স্বাভাবিক রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখে। এটি হেপাটাইটিস, ভাইরাল হেপাটাইটিস, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের ক্ষেত্রেও কার্যকর।এটি কতটা কার্যকর?
রেহামিনিয়ার কিছু উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ব্যথা, ফোলাভাব কমায় এবং কিছু উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা ভারসাম্যপূর্ণ করে বলে মনে হয়।
রেহমানিয়া শক্তির ব্যবহারে প্রভাব ফেলে এবং ডায়াবেটিস এবং ইনসুলিন প্রতিরোধী ব্যক্তিদের জন্য উপকারী হতে পারে। এই উদ্ভিদের চিনির নির্যাস ইঁদুরের ইনসুলিন উৎপাদন বৃদ্ধি করে, অন্যদিকে ক্যাটালপল ডায়াবেটিসে গ্লুকোজের মাত্রা কমায়, ক্যাটালপল অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি থেকে এন্ড্রোফিনের নিঃসরণ বৃদ্ধি করে। যা রক্ত থেকে পেশীতে গ্লুকোজ পরিবহনে সহায়তা করে।
✅ ফার্মাকোলজি :
আইরিডয়েড গ্লাইকোসাইড
মনটারপেন
মোলিটোসাইডস
রেহম্যানিওসাইড- এ, বি, সি, ডি
বহুমুখী- Ca, Cu, দস্তা
অ্যামিও অ্যাসিড
গ্লুকোসামিন
বি-সেটোস্টেরল
অলিগোসাকারাইড
ফার্মাকোলজি
জিঙ্কগো বিলোবা পাতার মানসম্মত নির্যাসের ব্যবহার শেখার, স্মৃতিশক্তি এবং অনুসন্ধানমূলক আচরণের উপর প্রভাব ওয়াটার মেজ এবং হোল-বোর্ড পরীক্ষায় অনুমান করা হয়েছিল। ইঁদুর (১৮ মাস বয়সী) তিন মাস ধরে প্রতিদিন ৫০, ১০০ এবং ১৫০ মিলিগ্রাম/কেজি বিডব্লিউ মাত্রায় গ্রহণ করেছিল। আচরণগত পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর, নির্বাচিত মস্তিষ্কের অঞ্চলে নিউরোট্রান্সমিটারের ঘনত্ব অনুমান করা হয়েছিল। ANOVA নিয়ন্ত্রণের তুলনায় চিকিৎসা গোষ্ঠীর মধ্যে মনোঅ্যামিন এবং বিপাকের পরিমাণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য প্রদর্শন করেছে। হিপ্পোক্যাম্পাসে ৫-হাইড্রোক্সিট্রিপটামিন (৫-এইচটি) এবং প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্সে ৫-এইচআইএএ (৫-এইচটি মেটাবোলাইট) এর বর্ধিত স্তর স্থানিক স্মৃতি ধারণের সাথে ইতিবাচকভাবে সম্পর্কিত। প্রোব ট্রায়ালের সময় এসইতে প্ল্যাটফর্ম ক্রসিং এবং নিউরোট্রান্সমিটার টার্নওভারের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্ক স্থানিক স্মৃতির উন্নতি নির্দেশ করে। জিঙ্কগো বিলোবা নির্যাসের দীর্ঘমেয়াদী প্রয়োগ স্থানিক স্মৃতি এবং প্রেরণা উন্নত করতে পারে, বিভিন্ন মস্তিষ্কের অঞ্চলে মনোঅ্যামিনের পরিমাণ এবং বিপাকের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সাথে।
✅ তথ্যসূত্র: পরীক্ষামূলক এবং ক্লিনিক্যাল ফার্মাকোলজি বিভাগ, ওয়ারশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়ারশ, পোল্যান্ড।
✅ ফাংশন
ক) আইরিডয়েড গ্লুকোসাইড, মনটারপেন, ম্যালিটোসাইড-ইরিডয়েড গ্লাইকোসাইড, মনোটারপেন, গ্লুকোসামিন, মোলিটোসাইড সম্মিলিতভাবে স্ট্রেপ্টোজোটোসিন (STZ) হিসেবে কাজ করে যা সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন (CRP) ঘনত্ব বৃদ্ধি করে প্লাজমা গ্লুকোজের মাত্রা হ্রাস করে। এটি ইনসুলিন এবং গ্লুকাগন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করতে অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষ এবং আলফা কোষকেও সক্রিয় করতে পারে।
খ) অলিগোস্যাকারাইড-অলিগোস্যাকারাইড (ROS) গ্লুকোজ বিপাকের মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করে।
গ) গ্লুকোসামিন-গ্লুকোসামিন ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি কমাতে পারে। গ্লুকোসামিন ভাঙা হাড়ের পেশী এবং টিস্যুগুলিকেও পুনরুজ্জীবিত করতে পারে।
ঘ) রেহম্যানিওসাইড- এ, বি, সি, ডি-রেহমানিওসাইড- এ, বি, সি, ডি জ্বর ও সর্দি, প্রদাহ এবং মাথা ঘোরার জন্য কার্যকর প্রতিকার।
ঙ) বহুখনিজ- Ca, Cu, Zn-বহু-খনিজ পদার্থ- Ca, Cu, Zn ইমিউনোসাসপ্রেসিভ হিসেবে কাজ করে। রিউমাটয়েড অ্যাথ্রাইটিস, ফাইব্রোমায়ালজিয়া, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের মতো অটোইমিউন রোগের ক্ষেত্রেও কার্যকর।
✅ রেফারেন্স-
১) জার্নাল অফ এথনোফার্মাকোলজি, খণ্ড ৯০, সংখ্যা ০১, জানুয়ারী ২০০৪, পৃষ্ঠা ৩৯-৪৩।
২) দ্য আমেরিকান জার্নাল অফ চাইনিজ মেডিসিন, খণ্ড ৩৬, সংখ্যা ০৬, ২০০৮।
৩) ফস্টার, স্টিভেন এবং ইউ চংক্সি: ভেষজ দূত: পশ্চিমে চীনা ভেষজ আনা। হিলিং আর্টস প্রেস ১৯৯২।
৪) বোন, কে. এবং এন. বার্গেস: হাউ টু প্রেসক্রাইব ভেষজ ঔষধ। দ্বিতীয় সংস্করণ। ওয়ারউইক। মেডিহার্ব লিমিটেড ১৯৯২।
৫) বোন, কে.: ফাইটোথেরাপিতে স্নাতকোত্তর কোর্স। ওয়ারউইক। মেডিহার্ব লিমিটেড ১৯৯০৬) উশার, জি.: ম্যান দ্বারা ব্যবহৃত উদ্ভিদের অভিধান। লন্ডন, ইংল্যান্ড। কনস্টেবল অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড ১৯৭৪।
৭) ইয়ুং, হিম চে: হ্যান্ডবুক অফ চাইনিজ ভেষজ সূত্র। দ্বিতীয় সংস্করণ। রেডউইং বুক কোং ১৯৮৫।
